জনতারকন্ঠ ডটকম : কোচিং শিক্ষকের লালসার শিকার হয়েছে দশম শ্রেণীর এই স্কুলছাত্রী। ওই শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে সেটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। র্যাব অভিজান চালিয়ে ওই ছাত্রীর ভিডিও ছাড়াও আরো অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ধারণকৃত শিক্ষকের আরো অনেক ভিডিও সংগ্রহ করে।
যেই সময় পড়াশুনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকার করা এই কিশোরীর সেই খানে পড়াশুনার চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু হতাসার চিন্তা। ইজি কোচিং সেন্টারের রাসায়ন বিভাগের এনামুল স্যার। অন্য অন্য শিক্ষদের থেকে তাকে একটু বেশিই ভালোবাসতো। পরিক্ষার সময় নানান সুযোগ-সুবিধে দিয়ে থাকতেন।
একদিন কোচিং শেষে তাকে একা থাকতে বলেন এবং বলেন তোমাকে এসএসসি পরিক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পায়িয়ে দিবে আরো অনেক লোভ লালসা দেখাতে থাকে। তারপরে তাদের সাথে এক সময় শারীরিক রিলেশন হয়ে যায়।
আস্তে আস্তে একদিন বুজতে পারে স্যার তাকে আসলে ভালোবাসে না ,তার সাথে শুধু শারীরিক সম্পর্ক করছে। তারপরে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সব চিন্তা বাদ দিয়ে বাসায় পড়াশুনায় মন দেয়। ভালোবাভেই পরীক্ষা দিতে থাকে, পরিক্ষা শেষে ভালো ফলাফলও করেন। এতদিন শুধু তাদের ফোনে মেসেজ মাধ্যেমে কথা হয় তাদের।
কিছুদিন পরে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হলে ,তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় । তার সাথে যোগাযোগ না করতে চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আরো ৫ লক্ষ টাকা চেয়েও হুমকি দেয়, না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে।
কিছুদিন পরে ঐ শিক্ষক তার বাসায় ঘটনাটা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করলে, মেয়ের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইজি কোচিং সেন্টারে অভিজান চালিয়ে ল্যাপটপ জব্দ করে এলাকাবাসী।
বিষয়টা র্যাবের কাছে জানালে, র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। তার ল্যাপটপে শুধু ঐ মেয়ের একার ভিডিও পাওয়া যায় নি আরো অনেক শিক্ষার্থীর ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এনামুল শিক্ষকের সাথে আরো কয়েকজন শিক্ষকে র্যাব আটক করেছে।
এলাকবাসী মানবন্ধন করে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment